Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

ফলের সাতকাহন

ষড়ঋতুর বাংলাদেশে সারা বছর ফল পাওয়া গেলেও মধু মাসে বাহারি ফলের সমাহার হয়। স্বাস্থ্য, পুষ্টি, রোগ প্রতিরোধ ও খাদ্য চাহিদা পূরণে ফলের ভূমিকা অপরিসীম। দেশ নাতিশীতোষ্ণ হওয়ায় প্রায় সব ধরনের ফল চাষ এদেশে সম্ভব। আদিম যুগের মানুষ ফল খেয়েই জীবন ধারণ করত। খনার বচনে আছে- ‘বারোমাসে বারো ফল, না খেলে যায় রসাতল’। ফল শুধু খাদ্যই নয়- জীবনযাত্রার মনোন্নয়ন, ভেষজ, অর্থনীতি, পরিবেশ, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদিসহ সবক্ষেত্রে ফলের অবদান অনস্বীকার্য। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, ৫০ বছর বয়স্ক একটি ফল গাছ তার সারা জীবনে আমাদের যে উপকার করে তার আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩৫.৪০ লক্ষ টাকা। ফল চাষ এদেশে খুব অবহেলিত। দেশে পতিত জমি, অনাবাদি জমি, ফসলের জমিতে, রাস্তা, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির আশেপাশে প্রচুর ফল গাছ রোপণের সুযোগ আছে। ইসলামের দৃষ্টিতে ফল গাছ লাগানো সদকায়ে জারিয়া। ফল গাছ চাষে খরচ কম লাভ বেশি।  


পুষ্টি : ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের প্রধান উৎসই হচ্ছে ফল। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন প্রায় ১১৫ গ্রাম ফল খাওয়া দরকার কিন্তু আমরা খেতে পারি মাত্র ৩৫-৪০ গ্রাম। ভিটামিন ‘এ’ বেশি আছে- পাকাআম, পাকা কাঁঠাল, পাকা পেঁপে, আনারস, আমড়া, পেয়ারা, লাল বাতাবি লেবু, বাঙি, জাম, জামরুল, গোলাপ জাম ও খুদিজামে। ভিটামিন বি১ আছে- পাকা আম, পাকা কাঁঠাল, পাকা কলা, আনারস, ডাবের পানি, বাঙি, আমড়া, কামরাঙ্গা, কদবেল, পানিফল ইত্যাদি। ভিটামিন বি২ বেশি আছে- পাকা কাঁঠাল, পেয়ারা, বাঙি, আমলকী, জামরুল, লিচু, বরই, আতা, লটকন, ডেউয়া, অরবরই ইত্যাদি। ভিটামিন সি বেশি আছে- আমলকী, অরবরই, পেয়ারা, জাম্বুরা, ডেউয়া, লেবু, কামরাঙ্গা, আমড়া, পেঁপে, খুদিজাম, গোলাপজাম, আম, কুল, কমলা, জাম, জলপাই, আতা, লিচু ইত্যাদি। ক্যালসিয়াম বেশি আছে- লেবু, কদবেল, আমড়া, নারিকেল, ডেউয়া, জগডুমুর, গাব, অরবরই, বেল, জাম্বুরা, পেঁপে, আমলকী, তেতুঁল, কাঁঠাল, কমলা, জাম, ডালিম, জলপাই, খেজুর ইত্যাদি। আয়রন বেশি আছে- তরমুজ, আম, পেয়ারা, লেবু, জাম, আতা, কামরাঙ্গা, আমড়া, নারিকেল, জলপাই, আমলকী, জগডুমুর, অরবরই, খুদিজাম, ইত্যাদি। ফসফরাস বেশি আছে- আতা, আম, কলা, কাঁঠাল, খেজুর, জলপাই, জামরুল, ডালিম, তালের শাঁস, নারিকেল, পেয়ারা, জাম্বুরা, বেল, লিচু ইত্যাদি। খাদ্যশক্তি বেশি আছে- নারিকেল, খেজুর, আতা, গাব, কলা, কুল, আম, লিচু, লেবু, বেল, ডালিম, আমড়া, জলপাই, তেঁতুল, তাল, পানিফল, লটকন, চালতা, বিলাতিগাব, ডেউয়া ইত্যাদি। শর্করা বেশি আছে- খেজুর, কলা, কুল, আম, তাল, গোলাপজাম ইত্যাদি। স্লোগান- পাকা ফলে তুষ্টমন, যোগায় পুষ্টি বাড়ায় ধন।


ভেষজ : ফল শুধু খাদ্যই নয় ইহা রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকার করে। কাঁচা আম- জ্বর, সর্দি, ত্বক ও দাঁতের জন্য উপকারী। কাঁঠাল- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। চোখের জন্য ও খাদ্য হজমে উপকারী। লিচু- রুচি বাড়ায়, ঠাণ্ডা, সর্দি, জ্বর, কাশি, পেটব্যথা ও টিউমারে উপকারী। আনারস- গলা ব্যথা, ব্রংকাইটিস, মূত্রবর্ধক, কিডনির জন্য উপকারী। ইহা কৃমিনাশক, বলকারক, পাণ্ডুরোধ, সর্দি, জ্বর সারায়। গর্ভবতী মহিলাদের এবং দুধের সাথে আনারস খাওয়া ঠিক না। তরমুজ- জ্বর, সর্দি, ঠাণ্ডা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কিডনি, অন্দ্রীয় ক্ষত, রক্তস্বল্পতায় উপকারী। জাম- আমাশয়, বমি, অরুচিতে উপকারী। পেয়ারা- চর্মরোগ, দাঁত ও হাড়ের রোগে উপকারী। খাদ্য হজম, ক্ষত শুকাতে, চর্বি কমাতে ও অরুচিতে সহায়ক। বেল- পেট পরিষ্কার,  কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয়, হজমশক্তি, বলবর্ধকে উপকারী। জাম্বুরা- কোষ্ঠকাঠিন্য, মুখের রুচি, জ্বর সর্দিতে উপকারী। পেঁপে- খাদ্য হজম, রক্তজমাট বাঁধা, ক্ষত সারাতে সহায়ক, পেট ফাঁপা দূর করে। লেবু- ঠাণ্ডা, সর্দি, জ্বর ও ক্লান্তি দূর করে। ডালিম- কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয়, পেটের অসুখ ও রক্ত ক্ষরণ বন্ধে সহায়ক। করমচা- রুচি বাড়ায়, ত্বক ও রক্তনালি শক্ত করে ও রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। ইহা কৃমিনাশক। জামরুল- ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী। তেঁতুল- হৃদরোগ, পেটফাঁপা, বলবর্ধকে উপকারী। মাথাব্যথা ও বিষাক্ততা নিরাময় হয়। লটকন- রুচি বাড়ে ও বমি দূর হয়। আমলকী- চর্মরোগ দূর হয়, ক্ষত সারায়, রুচি বাড়ায় ও ত্বক মসৃণ করে ও যকৃত, পেটের পীড়া, হাঁপানি, কাশি ডায়াবেটিস, অজীর্ণ ও জ্বর নিরাময় করে। কুল- বাতের ব্যথা, রক্ত পরিষ্কার, হজম, পেট ফাঁপা, অরুচিতে উপকারী। আমড়া- পিত্ত ও কফ নিবারণ করে, আমনাশক ও কণ্ঠস্বর পরিষ্কার করে। কলা- আমাশয়, ডায়রিয়া, আলসার, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। নারিকেল- দুর্বলতা দূর করে, ডাবের পানি স্যালাইনের কাজ করে। কামরাঙা- রক্তক্ষরণ বন্ধ, বমি বন্ধ, কৃমি, কাশি ও এজমা নিরাময় করে। সফেদা- জ্বর নাশক, ত্বক ও রক্তনালি দৃঢ় করে, রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। ডেউয়া- পিত্তবিকারে ও যকৃতের পীড়ায় হিতকারী। খুদিজাম- আমাশয়, ডায়াবেটিস অরুচি ও বমিতে উপকারী। আতা- বলকারক, বাত ও পিত্তনাশক, বমননাশক, রক্তবৃদ্ধিকারক ও মাংসবৃদ্ধিকারক। চালতা- পেটফাঁপা, কফ, বাত ও পিত্তনাশক। সাতকরা- বমিনাশক, রুচিবর্ধক ও হজম সহায়ক। ডুমুর- টিউমার, ডায়াবেটিস, কিডনি ও লিভারের পাথর নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। কদবেল- যকৃত ও হৃদপিণ্ড বলবর্ধক। পিত্তরোগ ও পেটের অসুখ ভালো করে। তাল- শ্লেস্মানাশক, মূত্র বৃদ্ধি করে, প্রদাহ ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। জলপাই- রুচি বাড়ায় ও ত্বক মসৃণ রাখে। খেজুর- বলবর্ধক, কৃমিনাশক, হৃদরোগ, জ্বর ও পেটের পীড়ায় উপকারী। কমলা- সর্দিজ্বর, ক্ষত ও চর্মরোগে উপকারী। সে­াগান- ফল খান দেশি, বল পাবেন বেশি। রোগমুক্ত জীবন চান, ফল ঔষধির গাছ লাগান।


জাত ও মৌসুম : দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১৩০ রকম ফলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭০ রকমের ফল চাষ হয়। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালের ফল- আমের ১২৭ জাত পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- গোপালভোগ, ল্যাংড়া, হিমসাগর, ফজলি, খিরসাপাত, বারিআম, বাউআম, ভাসতারা, লক্ষণভোগ, আম্রপালি, মিসরিভোগ, আশ্বীনা, চৌনা, কোহিতুর, মোহনভোগ, কিষাণভোগ, পুষা, মাধুরী, রুবি, মঞ্জিরা, সাবরী, রাতুল ইত্যাদি। কাঁঠালের জাত হচ্ছে- বারি কাঁঠাল, খাজা, আদরাসা ও গালা। লিচুর জাত- বেদানা, বোম্বাই, চায়না, মঙ্গলবাড়ি, বারিলিচু কদমি ইত্যাদি। পেয়ারার জাত- স্বরূপকাঠি, কাঞ্চননগর, কাজীপেয়ারা, বারিপেয়ারা, বাউপেয়ারা ইত্যাদি। আমড়ার জাত-বারিআমড়া। আনারসের জাত- হানিকুইন, জায়েন্ট, জলডুবি ও ঘোড়াশাল। শরৎকালের ফল- জলপাই, তাল, জগডুমুর, অরবরই, আমলকী, করমচা, চালতা, ডেউয়া ইত্যাদি। হেমন্তের ফল- পানিফল, সাতকরা, কদবেল। বসন্তের ফল- কুল, তেঁতুল, আতা, শরিফা ইত্যাদি। সারা বছরের ফল- নারিকেল, লেবু, কলা, ইত্যাদি। পৌষ থেকে চৈত্র মাসে মোট ফলের ২৪ শতাংশ, বৈশাখ থেকে শ্রাবণ পর্যন্ত ৫৪ শতাংশ ও ভাদ্র থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত ২২ শতাংশ ফল পাওয়া যায়। দেশে চাষযোগ্য বিদেশি ফল- আঙুর, সফেদা, কাজুবাদাম, স্ট্রেবেরি, রাম্বুটান, ড্রাগন, এভোকেডো, কমলা, প্যাসনফল, মালটা, বিলিম্বি, সাতকরা, শানতোল, পিচ, কাউ, তৈকর, জাবটিকা ইত্যাদি।


বংশবিস্তার : প্রকৃত বীজ থেকে অধিকাংশ ফলের চারা উৎপাদন করা হয়। কাটিং- আঙুর, লেবু, ডুমুর ও বেল। গুটিকলমÑ লিচু, পেয়ারা, লেবু, ডালিম, গোলাপজাম, জামরুল। জোড়কলম- আম, কাঁঠাল, কামরাঙ্গা, জলপাই, আতা, কমলা, মাল্টা, জাম ইত্যাদি। চোখ কলম- কুল, কমলালেবু, মাল্টা ইত্যাদি।


উৎপাদন ও রফতানি : দেশে প্রধান ফল চাষ হয় প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার হেক্টরে। মোট উৎপাদন হয় প্রায় ৩০ লাখ মেট্রিক টন। মোট আবাদি জমির শতকরা প্রায় ১.৫ ভাগ জমিতে প্রধান ফল চাষ হয়। এর মধ্যে আম ২১.৪৪%, কলা ৪৬.১৭%, কাঁঠাল ৭.৬%, আনারস ১৪%, তরমুজ ৩.৬%, পেয়ারা ৪.৮%, লিচু ১.৪% ও পেঁপেঁ ১% জমিতে চাষ হয়। প্রতি বছর প্রায় ৫-৬ হাজার মে.টন ফল রফতানি করে ১৪-১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। ফসলভিত্তিক জাতীয় আয়ের শতকরা ১০ ভাগ ফল থেকে আসে। স্লোগান- স্বাস্থ্য পুষ্টি অর্থ চান, ফলের চারা বেশি লাগান।


ফলগাছ থেকে কী পাই : ফল পাওয়া যায়। পুষ্টির অভাব পূরণ হয়। রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকার হয়। ছায়া দিয়ে পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখে। পরিবেশ উন্নত করে। জ্বালানি ও কাঠ পাওয়া যায়। প্রাকৃতির দুর্যোগ প্রতিরোধ করে। ভূমিক্ষয় রোধ করে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ হয়। কুটির শিল্প ও বড় শিল্পের কাঁচামাল পাওয়া যায়। পশুপাখির খাদ্যের উৎস। বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়। আয়-উপার্জন বাড়ে। বেকারত্ব দূর হয়। পরিবেশ দূষণ রোধ করে। ফল বাগানে আন্তঃফসল হিসেবে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ডাল ইত্যাদি চাষ করা যায়। ইসলামের দৃষ্টিতে হাদিসে আছে- যে ব্যক্তির রোপণকৃত ফলগাছে যত ফল ধরে তত সে সওয়াব পায়। ফল গাছের ফল, ছায়া, কাঠ, পাতা ইত্যাদি দ্বারা মানুষসহ যত মাখলুক যত বছর উপকৃত হবে তত বছর ফল গাছ রোপণকারী ব্যক্তি জীবিত ও মৃত অবস্থায় সওয়াব পায়।


ফলন বৃদ্ধির উপায় : উন্নতজাতের সুস্থসবল কলমের চারা রোপণ করা। চারা রোপণের সময় ও ফল ধারণের দুই মাস আগে সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ। খরার সময় এবং ফল ধারণের দুই মাস আগ থেকে নিয়মিত সেচ দেয়া। ফল সংগ্রহের পর ডালপালা ছাঁটাই করা। রোগ ও পোকা দমন করা। গাছের নিচে সব সময় পরিষ্কার রাখা। নিয়মিত আগাছা দমন করা। নিকাশ করা। চারার গোড়ায় মাটি দেয়া। গাছে সূর্যের আলো পড়ার ব্যবস্থা করা।


সুযোগ ও সম্ভাবনা : দেশের তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, আবহাওয়া, মাটি, জলবায়ু পরিবেশ বিভিন্ন ধরনের ফল চাষের উপযোগী। দেশের প্রায় ২ কোটি বসতবাড়ি, প্রায় ১৬ লাখ একর পতিত জমি, ২৩ হাজার কিলোমিটার নদীর পাড়, ২০ লাখ পুকুর পাড়, ১০ হাজার কিলোমিটার সড়ক, প্রায় ৩ হাজার কিলো মিটার রেল সড়কের পাশ দিয়ে ফল গাছ লাগানো যায়। এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাট বাজার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ফল গাছ লাগানো যায়। স্লোগান- বসত বাড়ির আশে পাশে, ভরে দে ভাই ফল গাছে।


স্লোগান-রোপণ করলে ফলের চারা, আসবে সুখের জীবন ধারা। ফল খেলে জল খায়, যম বলে আয় আয়। দেশি ফলে বেশি পুষ্টি, অর্থ খাদ্যে পাই তুষ্টি। বাড়ির ছাদে ফলের চাষ, পাবেন ফল মিটবে আশ। খাদ্য পুষ্টি স্বাস্থ্য চান, ফল ফলাদি বেশি খান। রোপণ করলে ফলের চারা, আসবে সুখের জীবন ধারা। অর্থ পুষ্টি স্বাস্থ্য চান, দেশি ফল বেশি খান। ফলের চারা রোপণ করুন, পুষ্টির অভাব দূর করুন। ফল বৃক্ষের অশেষ দান, অর্থবিত্তে বাড়ান মান।

 

কৃষিবিদ ফরহাদ আহাম্মেদ*

*সহকারী অধ্যাপক, শহীদ জিয়া মহিলা কলেজ, ভূয়াপুর, টাঙ্গাইল; মোবাইল- ০১৭১১-৯৫৪১৪৩

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon